আর্থিক ক্ষতি কমানোর সঙ্গে সরকারি অর্থের অপচয় বন্ধে মরিয়া বাংলাদেশ, চরম সংকটেও কোন কর্মী ছাঁটাই করেনি বিমান। এবার যানবাহন ব্যবস্থাপনা আর রক্ষণাবেক্ষণেও সংস্থাটি হচ্ছে স্বনির্ভর। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, পরিবহন প্রকৌশল কেন্দ্রে বাণিজ্যিক সেবা চালু হওয়ায়, কোষাগারে কাটবে অর্থের সংকট। যদিও, প্রতিমন্ত্রীর দাবি, আগামী দুই মাসের মধ্যেই করোনার আর্থিক ক্ষতি কাটাবে বিমান।
প্রায় দশগুণ অর্থ সাশ্রয়ের সম্ভাবনার কথা জানালেন বিমানের কর্মকর্তা। তার কথার সূত্র ধরেই বাংলাদেশ বিমানের পরিবহণ প্রকৌশল বিভাগের ওয়ার্কশপ ঘুরে দেখা গেলো নানা ধরনের কর্মকাণ্ড। যেখানে যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় প্রায় সবগুলো ধাপের কাজ করছেন প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ানরা। ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
কয়েকজন জানান, এসির কাজ ছিল না। এখন আমাদের ট্রেনিং দেওয়ার ফলে আমরা এগুলো করতেছি। পরিবহন প্রকৌশল কেন্দ্রের আওতায় ১২টি সেক্টর রয়েছে।
খোলা চোখে দেখা যায় দেশের আকাশি অর্থনীতিতে বিমানের কাজকর্ম শুধু ফ্লাইট পরিচালনায় সীমাবদ্ধ। কিন্তু উন্নয়নের এই পর্যায়ে এসে এখন সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ সাশ্রয় আর অপচয় বন্ধে ব্যাপক তৎপর সংস্থাটি।
বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইসেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, আগে বিএফসিসির গাড়িগুলো এখানে সংস্কার করা হতো। সেটি এখন এখানে করছি। এছাড়াও বিমানের গাড়িগুলোর সব ধরনের কাজ এখানে করা হচ্ছে।
করোনায় করুণ অবস্থা বহু উন্নত দেশের বিমান সংস্থার। খোদ এমিরেটসই কর্মী ছাঁটাই ছাড়াও কাটছাঁট করেছে খরচও। সেই তুলনায় স্বস্তিতে আছে বিমান। ছাঁটাই করা হয়নি কর্মী, এমনকি ক্ষতিপূরণে লাগবে মাত্র দুমাস বলছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, করোনায় আমরা একটি কর্মীও ছাঁটাই করি নাই। কোভিডের জন্য যে ক্ষতি হয়েছে, সেটা পূরণ হতে দুমাস লাগবে।
বিশেষজ্ঞ মত বলছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বিমানের লাভক্ষতির অনেকটাই নির্ভর করছে নতুন র্যুটে ফ্লাইট চালুর সঙ্গে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের সফলতার উপর।
নদী বন্দর / পিকে