কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি-শ্রীরায়েরচর সড়কের বনুয়াকান্দি গ্রামের খালের ওপর নির্মাণ করা হয় কাঠের সেতু। কিন্তু সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর দুই মাস যেতে না যেতেই ভেঙে পানিতে পড়ে যায়। সেতুটি মেরামত না করায় গত প্রায় ৯ মাস ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই এলাকার অন্তত নয়টি গ্রামের হাজারো মানুষ। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় খালটি পারাপারে এলাকাবাসীর এখন নৌকাই একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে জানা যায়, স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) অধীনে গত বছর বনুয়াকান্দি গ্রামের বড়ো খালের ওপর ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয় ৩ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩ টাকা। গত বছরের এপ্রিল মাসে স্থানীয় পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন এ সেতুটির উদ্বোধন করেন। এর দুই মাস পর জুন মাসে খালে বর্ষার পানির স্রোতে সেতুটি ভেঙে যায়।
বনুয়াকান্দি গ্রামের শিক্ষক আবুল কালাম, ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিনসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ায় এ ইউনিয়নের বনুয়াকান্দি, সৈয়দখারকান্দি, মোল্লাকান্দি, মোল্লাবাড়ী, খালিসা, নয়ানগর ও আশপাশের গ্রামের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার অন্তত ১২-১৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে চলাচল করছে খালটিতে। নৌকা দিয়ে খাল পারাপার হওয়া ছাড়া এসব গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতের বিকল্প কোনো পথ নেই। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কৃষকরা তাদের কৃষিপণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতেও মহাদুর্ভোগে পড়তে হয়। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও এ স্থানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হয়নি।
এ বিষয়ে পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মনির হোসেন বলেন, এলাকার বিশাল এ জনগোষ্ঠীর জন্য বনুয়াকান্দি গ্রামের বড়ো খালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি গত বর্ষায় পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। তাদের দুর্ভোগ দূর করতে সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগসহ চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছি। এলজিইডি দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী এস এম আনোয়ারুল হক বলেন, সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নদী বন্দর / পিকে