কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদী ঘেঁষে এগিয়ে চলেছে সীমান্ত সড়কের কাজ। যা মাদকপাচার আর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধসহ নানা অপরাধ দমনে সহায়ক হবে।
বিজিবি জানায়, নজরদারিতে বসানো হবে ডিজিটাল ডিভাইস। আর ৫১ কিলোমিটারের এই সড়কটি বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ। ইয়াবা, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাকারবারিদের আনাগোনার জন্য আলোচিত এ উপজেলা।
এসব অপরাধ আলোচনায় আসলেও দুর্গম যোগাযোগের জন্য কার্যত বন্ধ করা যায়নি। সেজন্য বিকল্প পথ খুঁজছিলো সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। তারই অংশ হিসেবে তৈরি হচ্ছে এই সীমান্ত সড়ক। স্থানীয়রা বলছেন, এই সড়কটি হলে অনেকাংশে কমবে সীমান্ত অপরাধ।
সীমান্ত সড়ক নিমার্ণের পর বসানো হচ্ছে স্মার্ট ডিজিটাল ডিভাইস। এ ডিভাইসের মাধ্যমে সীমান্তে নজরদারি আরও সহজ হয়েছে বলে জানান টেকনাফ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে উখিয়া পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক বিজিবির প্রস্তাবে দ্রুত এগিয়ে চলছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ২ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে ২০২৩ সালের জুনে।
নদী বন্দর / পিকে