সব প্রস্তুতি শেষ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দুইয়ের। কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া অংশ থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে রাখা হচ্ছে চার কিলোমিটার দূরের বিশাল বেসিনে। নির্ধারিত সময়ের পর সেই পানি পাঠানো হচ্ছে পরিশোধনের জন্য প্ল্যান্টে। পরিশোধন শেষে পরীক্ষামূলক হিসেবে পাঠানো হচ্ছে বিশেষ সরবরাহ লাইনে। এই প্রক্রিয়ায় কোনও ত্রুটি রয়েছে কি না তা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ফিল্টারের মাধ্যমে আমরা ধাপে ধাপে পানি পরিশোধন করে শহরের রাঙ্গুনিয়া ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে নাসিরাবাদ রিজার্ভারে পাঠানো হবে।
হালদা নদী এখন চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ভরসা। ২০১৩ সালে একনেকে অনুমোদন পায় ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকার এই প্রকল্প। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার জোগান দিয়েছে এক হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। আর জাইকা ২ হাজার ৮০০ কোটি এবং ওয়াসার নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হয় ২৩ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি সাপেক্ষ চলতি মাসেই নতুন ১৪ কোটি লিটার পানি সবররাহ লাইনে যুক্ত করে মাইলফলক গড়তে চায় চট্টগ্রাম ওয়াসা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, আমরা এখন ট্রায়াল লাইন পানি সরাবরাহ করছি পাইপ লাইনে। যে কোথাও কোনও লিক আছে কিনা, কোনো সমস্যা আছে কিনা। আশা করছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে পানি সরবরাহ শুরু করব।
২০১৭ সালে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার একের মাধ্যমে ১৪ কোটি লিটার পানি কর্ণফুলী থেকে নিয়ে নগরীতে সরবরাহ করছে। নগরীতে বর্তমানে ৫০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ওয়াসা সরবরাহ করছে ৩৫ কোটি লিটার পানি। নতুন ৭০০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে ১৪ কোটি লিটার পানি মূল গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।
নদী বন্দর / এমকে