রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ভাসানচরে চালু হয়েছে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম। নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরার পর যাতে শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ। এর ফলে রোহিঙ্গা শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি অপরাধপ্রবণতা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছে সরকার।
ভাসানচর এখন যেন এক মুক্ত পৃথিবী। রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশের নিচে স্বর্গদূতের মতো শিশুদের কোলাহল এখানে সারাদিন। এ শিশুদের অনেককে কোলেপিঠে করে তাদের মা-বাবা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশে। সেই স্মৃতি তাদের হয়তো মনে নেই। এখন তারা বড় হচ্ছেন ভাসানচরের মুক্ত আলো বাতাসে। কিন্তু দিন শেষে তাদের ফিরে যেতে হবে মিয়ানমারে নিজ দেশে।
তাই বিকেলটা খেলায় কাটলেও সকাল হলেই রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ভাসানচরে ব্যবস্থা করা হয়েছে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার। মিয়ানমারের ভাষা, ইংরেজি, গণিত আর উন্নত জীবনমান, এ চারটি বিষয় পড়ানো হয় তাদের। স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে উন্নত জীবনের স্বপ্ন এখন রোহিঙ্গা শিশুদের চোখেমুখে।
আপাতত ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রমে। অনুমতি পেলে এর পরিধি আরো বাড়ানো হবে বলে জানান ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিচালক কমোডর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটা চিঠি পেয়েছি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় উপজেলার চরেশ্বরি ইউনিয়ন উপলক্ষে অনুদান আসবে, সেই অনুদান উপলক্ষে এ শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ভালো। শিক্ষার মধ্যে থাকলে তারা বড় ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকম থেকে বিরত থাকবে।
প্রাথমিকভাবে ১৮০ জন শিক্ষার্থীকে ২ শিফটে পাঠদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নদী বন্দর / জিকে