৩৫ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন মনজুর আলম নামের এক চাষি। এতে তাঁর অন্তত ১২ লাখ টাকা মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পলিসেডে (গ্রিন হাউস) চাষকৃত বিষমুক্ত এই ক্যাপসিকামের বাজারে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। মনজুর আলম যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পটুয়াপাড়া গ্রামের মৃত সামছদ্দীন মোড়লের ছেলে।
মনজুর আলম ক্যাপসিকামের নেদারল্যান্ডসের একটি জাতের বীজ ভারতীয় একজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। ৪৬ হাজার টাকায় কেনা এই বীজে তিনি চারা উৎপাদন করেন। গত নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে তিনি সেই চারা ক্ষেতে লাগান। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে ক্যাপসিকাম বিক্রি করা শুরু হয়। তাঁর ক্ষেতে দুই ধরনের ক্যাপসিকাম রয়েছে। একটি লাল ও অন্যটি হলুদ রংয়ের।
ক্যাপসিকামের সাইজও অনেক বড় হয়েছে। গত ১৫ দিনে দুই লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন মনজুর আলম। বর্তমানে প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। ক্ষেতে যে পরিমাণ ক্যাপসিকাম রয়েছে, আর বাজারদর এ রকম থাকলে আরো অন্তত ১২ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
মনজুর আলম জানান, ৩৫ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে তাঁর বীজ কেনা, চারা বানানো, পরিচর্যা ও মজুরি বাবদ ছয় মাসে মোট দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাজারদর ঠিক থাকলে মোট ১৪ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রির আশা করছেন তিনি। পলিশেডে চাষকৃত এই ক্যাপসিকাম ক্ষেতে মনজুর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন না বলে জানান। তবে তিনি আশঙ্কা করেন, যদি বিদেশ থেকে ক্যাপসিকাম আমদানি করা হয় তাহলে দাম কমে গেলে লাভের অংশ কমে যাবে। বিষয়টিতে তিনি সরকারের দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, এনএটিপি প্রকল্পের মাধ্যমে মনজুর আলমকে কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষি কার্যালয়ের মাধ্যমে সব রকম প্রযুক্তিগত সেবা প্রদান করা হয়েছে। তিনি মনজুর আলমের উৎপাদিত ক্যাপসিকামকে আন্তর্জাতিক মানের বলে দাবি করেন।
নদী বন্দর / এমকে