মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো দেশটির সামরিক বাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়নের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার (১০ মার্চ) একটি বিবৃতি দিয়েছে। খবর : এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরুরিভিত্তিতে দমন-পীড়ন বন্ধে বারবার আহ্বান জানানোর পরও মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরকে ক্রমবর্ধমানভাবে নির্যাতন চালাতে দেখা যাচ্ছে। বিক্ষোভ দমনে তারা টিয়ার গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ব্যবহার করছেন।
কূটনীতিকরা এএফপিকে জানিয়েছেন, এই সহিংসতা শুরুর একমাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও মিয়ানমারের বন্ধু রাষ্ট্র চীন বিবৃতি দিতে অসম্মতি জানিয়ে আসছিল। তারা এতদিন বিষয়টিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বলে দাবি করে আসছিল। তবে অবশেষে এই দমন-পীড়ন বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য সম্মত হতে পেরেছে। তারা মিয়ানমারের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়ে এ বিবৃতি দেয়।
এ নিন্দা জানানোর পর জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝং জুন বলেন, ‘এখন দমন-পীড়ন বন্ধ করার সময় এসেছে। এ সংকট সমাধানে কূটনীতিক আলোচনার সময় হয়েছে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জান্তা নেতা মিন অং হলাইংয়ের দুই সন্তান অং পিয়ে সোন ও খিন থিরি থাত মোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, জান্তা নেতার এ দুই সন্তান তাদের ‘বাবার পদের সুবিধা নিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে’ বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
প্রসঙ্গত, গত মাসে মিয়ানমারের বেসামরিক নেতা অং সান সুচি সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও আটক হওয়ার পর থেকেই দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই সারাদেশে প্রতিদিন বিক্ষোভ হতে দেখা যাচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতায় মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ৬০ জন ছাড়িয়ে গেছে এবং প্রায় দুই হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে