মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরও দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। দেশটিতে সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রোববার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
রোববার নতুন করে রাজপথে বিক্ষোভে নামে সাধারণ মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শী এবং বেশ কিছু স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুন শহরের কাছাকাছি বাগো শহরে এক তরুণ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
কাচিন ওয়েভের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, হাকান্ত শহরে আরও এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। গত মাসের ১ তারিখে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় সামরিক বাহিনী। তারপর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিয়ানমার।
এদিকে বিক্ষোভ থামাতে নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী এবং পুলিশের গুলিতে ৮০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে ২ হাজার ১শ’র বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে লুকিয়ে থাকা রাজনীতিবিদরা ঘোষণা দিয়েছেন যে, সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চলবে। তারা নিজেদের মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করেছেন।
লুকিয়ে থাকা রাজনীতিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটির প্রধান মাহন উইন খিয়াং থান বলেছেন, ‘এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত। তবে খুব তাড়াতাড়ি আলোর দেখা পাওয়া যাবে।’ একদল সংসদ সদস্যকে নিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন খিয়াং থান, যারা গত মাসের অভ্যুত্থান মেনে নেননি।
এনএলডির যে এমপিরা গ্রেফতার এড়াতে পেরেছেন, তারা পালিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন, যার নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ), যার ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাহন উইন খিয়াং থান। মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছে সিআরপিএইচ।
বাণিজ্যিক শহরে ইয়াঙ্গুনে রোববার বিভিন্ন স্থানে শত শত মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। হ্লেইং থারইয়ার জেলায় বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার কমপক্ষে ১৩ জন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়।
নদী বন্দর / পিকে