প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নত নাগরিক জীবনের অন্যতম সূচক হচ্ছে নিরাপদ পণ্য ও উন্নত পরিষেবা পাওয়ার অধিকার। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সকল কর্মচারী ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নত দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের জনগণের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিষয়ে অধিক মনোযোগী। এ লক্ষ্যে আমাদের সরকার ২০০৯ সালে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’ প্রণয়ন ও আইনের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিদফতর ব্যবসায়ী ও ভোক্তার মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। সকল ব্যবসায়ী ও ভোক্তার প্রতি আমার অনুরোধ প্রত্যেককেই অধিকার সচেতন হওয়ায় পাশাপাশি দায়িত্বশীল হতে হবে। তাহলেই একটি সুস্থ, আস্থাশীল বাজার ব্যবস্থা তৈরি হবে, যার ফলে গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস-২০২১ উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল ভোক্তাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষে শপথ করি, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’, যা সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তারই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করলো।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারিতেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি। যেখানে বিশ্বের বহু উন্নত দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, সেখানে আমরা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতেই সফল হইনি বরং মহামারি নিয়ন্ত্রণে রেখে বিশ্বের কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করেছি।
নদী বন্দর / পিকে