হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। এতে বন্দর এলাকায় ভিড়ছে পাইকাররা। সেই সঙ্গে প্রতিদিনই কমছে দাম, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১২-১৪ টাকা।
আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের আমদানি। আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্দর এলাকায় বাড়ছে পাইকারি ক্রেতাদের সমাগম। প্রথমদিকে দুই একটি করে পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫টিতে। আর আমদানি বাড়ায় পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। প্রথমদিকে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকা দরে বলে জানান পাইকার ও বন্দর শ্রমিকরা।
তবে ইমপোর্ট পারমিট দিয়ে দিলে আমদানি আরো বাড়বে, রমজানে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন জানান, ৩৬ দিন বন্ধের পর বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও প্রথমদিকে আমদানির পরিমাণ কম ছিল। বর্তমানে শবেবরাত ও রমজান উপলক্ষে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। আমদানি বাড়ায় পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে।
পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত সরকার। সম্প্রতি পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ায় ভারত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলে সাড়ে ৩ মাস বন্ধের পর ২ জানুয়ারি থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমের কারণে পড়তা না থাকায় ২৭ জানুয়ারি থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি আবারও দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম ও দাম বৃদ্ধি হওয়ায় ৪ মার্চ থেকে আমদানি শুরু হয়।
হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ কর্মদিবসে এ বন্দর দিয়ে ভারতীয় ট্রাকে ৫২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও শনিবার ২৫ ট্রাকে ৬৮৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে