খুলনার তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখের (৩৫) হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অপর চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির আসামি মোরতোজা ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি মেহেদী পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ফরিদ মোল্লা, মিসবাহ মোল্লা, মোর্তজা ও টুটুল। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মুক্ত মোল্লা, শহিদুল শিকদার, সেলিম শিকদার, নাসির শিকদার, ও মেহেদী মোল্লা।
আর খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, খালিদ মোল্লা, নাজমুল শিকদার, রাজা শেখ ও ওসমান ফকির। আসামিদের সবাই তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াজ খান রায়ের এ তথ্যটি নিশ্চত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট রাতে তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখকে পূব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই হিরু শেখ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ১৫ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ৩০ জন সাক্ষী মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
নদী বন্দর / পিকে