সুনামগঞ্জের সাল্লা উপজেলার হবিপুর ইউনিয়নের নববি গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দলটির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম নিয়ে কোনো হানাহানিতে বিশ্বাসী নয়। যুগ যুগ ধরে এদেশে সব ধর্মের মানুষ কোনো ধরনের বিভেদ ছাড়াই নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে এবং পারস্পারিক ভ্রাতৃত্বের মধ্য দিয়ে বসবাস করছে।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলা হলেও এই সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের মাত্রা সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। আওয়ামী সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। বেশ কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দ্বারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও দেবালয়ে অগ্নিসংযোগ, সম্পত্তি দখল ইত্যাদির হিড়িক চলছে।’
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সাল্লা উপজেলার হবিপুর ইউনিয়নের নববি গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা কোনো অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছে কী না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনা এক অশনি সংকেত।’
বিএনপি মহাসচির বলেন, ‘এদেশের জনগণ এখন ভয়ঙ্কর দুঃসময়ের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। ভয়াল পরিবেশের কারণে এদেশে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে পারেনি এবং তাদের নিরাপত্তাও দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী সরকার বিরোধী মত ও দলের নেতাকর্মীদের দমন ও নির্যাতনে ব্যস্ত থাকার কারণে সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পন্ন উদাসীন বিধায় একের পর এক নিরীহ মানুষের ওপরে হামলা, নির্যাতন ও জুলুম অব্যহত রয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ জনগণের প্রবল সাহসের কাছে কখনোই কোনো অশুভ শক্তির উত্থান সম্ভব নয়। এদেশের সব সম্প্রদায়কে যেকোনো উসকানির মুখে বিভ্রান্ত না হয়ে সাম্প্রদায়িক ঐক্য বিনষ্টকারি দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যারা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম হামলা চালাচ্ছে তারা মানবজাতির শত্রু।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি গতকাল সাল্লা উপজেলায় দুস্কৃতিকারীদের হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে ভাঙচুর করার ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং শাস্তির জোর দাবি করছি।’
নদী বন্দর / পিকে