নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া পদ্মা সেতুর স্টেনজার ইউরোপ থেকে আবার তৈরি করে নিয়ে আসা হয়েছে। সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর দ্রুত মাওয়ায় নিয়ে আসা হয়। এতে সেতুর কাজ আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এখন মূল সেতুর অগ্রগতি সাড়ে ৯২ ভাগ এবং সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৮৪ শতাংশ।
বাংলাদেশের সক্ষমতার স্মারক এখন পদ্মা সেতু। সেতুর নিচতলায় রেললাইনে বাকি থাকা স্টেনজার সংকট সমাধানে সেতুর কাজ আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। স্টেনজারের অভাবে এর কাজ বিঘ্নিত হচ্ছিল। সেতুর ৯০০ মিটার এলাকায় রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো যাচ্ছিল না। এখন দ্রুত স্ল্যাবগুলো বসে যাবে। ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাবের মধ্যে ২ হাজার ৪০৯টি এবং ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের ২ হাজার ৫৯টি স্থাপন হয়ে গেছে।
প্রতিটি সাড়ে ৭ টন নতুন স্টেনজার কাটা, ঘষামাজাসহ চলছে নানা কর্মযজ্ঞ। সেতুতে কর্মরত শ্রমিকরা বলছেন, সবদিক থেকে কাজের অগ্রগতি হয়েছে। স্টেনজার বসানো হলেই পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে স্টেনজারগুলো স্থাপন করা সম্ভব হবে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী বলেন, এটা (স্টেনজার) বসানোর প্রস্তুতি চলছে। আশা করি, আমাদের কাজের আর কোনও বাধা রইল না।
পদ্মা বহু সেতু প্রকল্পের সহকারি প্রকৌশলী এসএম তানমিম হাবিব শুভ জানান, সব গুলো স্টেনজার মাওয়া সাইডে চলে আসছে। স্টেনজারের ফেব্রিকেশন এবং ইরেশনের কার্যক্রম চলছে। ফলে রেলের স্লাব স্থাপনের কাজ গতি পাবে।
পুরো পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানে ১৩১২টি স্টেনজার স্থাপন হবে। এরই মধ্যে ১১২০টি বসে গেছে। নতুন স্টেনজারগুলো মাওয়া প্রান্তের ২ ও ৩ মডিউলের ৬টি স্প্যানে বসবে।
নদী বন্দর / পিকে