জাপান মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো।
রবিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে তিনি জাপান সরকারের এই বার্তা দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “রাষ্ট্রদূত বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি শেষ হলে জাপান বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করবে।”
রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার পাঠানো বার্তা এবং ১৯৭৩ সালে জাতির পিতার জাপান সফরের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘ওয়েলকাম বঙ্গবন্ধু (১৯৭৩)’ শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেজন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগাকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে জাপানি অর্থায়নের যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও মাতারবাড়ি প্রকল্প এগিয়ে চলেছে। মাতারবাড়ি বাংলাদেশের ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব’ হবে এবং এটা হবে ‘গেইম চেঞ্জার’।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানকে জায়গা দেওয়া হয়েছিল, যা আগামী বছর প্রস্তুত হবে বলে রাষ্ট্রদূত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হবে জাপানের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের কথা স্মরণ করে তার মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সেই সফরে আমার বোন শেখ রেহানা এবং ছোট ভাই শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী ছিলেন।”
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই জাপান এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে এই টার্মিনালটি পরিচালনা করবে।”
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে জাপান সফরের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “জাপান ছিল আমার স্বপ্নের দেশ।”
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / জিকে