চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন, গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম।
সোমবার (২২ মার্চ) বেলা ১২টায় আন্দরকিল্লায় চসিক কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে প্যানেল মেয়র নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
এর আগে চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের পরিচালনায় বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া ভোট সম্পন্ন হয় আধঘণ্টা পর। চসিক মিলনায়তনের তিনটি বুথে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন কাউন্সিলররা। তারা প্রত্যেকে দুজন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও একজন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ভোট দেন।
সিটি করপোরেশনের আইন অনুযায়ী পর্ষদ গঠন হওয়ার পর প্রথম সভার এক মাসের মধ্যে কাউন্সিলরগণ নিজেদের মধ্য থেকে তিন সদস্যের মেয়রের প্যানেল নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে একজন অবশ্যই সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হতে হবে। চসিকের বর্তমান পর্ষদের প্রথম সাধারণ সভা হয়েছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার একদিন আগে আজ (সোমবার) দ্বিতীয় সাধারণ সভার শুরুতে প্যানেল মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আজকের প্যানেল মেয়র নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে ৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তারা হলেন- ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন (প্রাপ্ত ভোট ২৯), ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ২৭), ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হারুন উর রশীদ (প্রাপ্ত ভোট ১৬), ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী (প্রাপ্ত ভোট ১৩), ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু (প্রাপ্ত ভোট ১০) ও ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী (প্রাপ্ত ভোট ১১)।
এছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়া সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলররা হলেন- আফরোজা কালাম (প্রাপ্ত ভোট ২৬), নীলু নাগ (প্রাপ্ত ভোট ১৩), ফেরদৌস বেগম মুন্নী (প্রাপ্ত ভোট ৮), জোবাইরা নার্গিস খান (প্রাপ্ত ভোট ৩) ও লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী (প্রাপ্ত ভোট ৩)।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) প্যানেল মেয়র নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মৃত্যুতে তা স্থগিত হয়ে যায়।
নদী বন্দর / এমকে