ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন।
মঙ্গলবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন এবং ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তার এই সফর।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকার প্রধান প্রধান সড়ক বাংলাদেশ ও ভুটানের জাতীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের পক্ষ থেকে ভুটানের রাজা বরাবর আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু অনিবার্যকারণবশত রাজা অনুষ্ঠানে যোগদান করতে অপারগ হওয়ায় তার প্রতিনিধি হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসাবে ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়।
পরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও উচ্চপর্যায়ের নেতাদের অব্যাহত সফর বিনিময়ের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি ভুটানের সঙ্গে সম্পাদিত হয়েছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে সংলাপ হবে।
নদী বন্দর / পিকে