গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় শুধু বড়রাই ভুগে না, ছোটরাও এতে কষ্ট পায়। তবে পার্থক্য হলো বড়রা বিষয়টি টের পেলেও শিশুরা প্রকাশ করতে পারে না। ফলে তারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কাতরায়। বুকের দুধ খায় এমন শিশুরাও গ্যাস্ট্রিক বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে পারে।
এমনটি হলে ভয় না পেয়ে বরং বুঝতে হবে শিশুর পাচনতন্ত্রের বিকাশ ঘটছে। তাই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়েই শিশুর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দ্রুত সারিয়ে তুলতে পারবেন। জেনে নিন করণীয়-
>> প্রতিবার শিশুকে খাওয়ানোর পর তাকে শুইয়ে না রেখে বরং কোলে নিয়ে সোজা করে রাখুন। আপনার এক হাত শিশুর পিছে রাখুন ২-৩ মিনিট। এতে শিশুর হজম হবে দ্রুত, পেটে গ্যাস জমবে না।
>> শিশুর পেটে গ্যাস জমলে, আলতোভাবে ঘষুন। আঙুল দিয়ে ম্যাসেজ করুন শিশুর পেট। এতে গ্যাস পরিপাকতন্ত্রের দিকে প্রবাহিত হবে এবং শরীর থেকে বের বের হয়ে যাবে।
>> এমন সময় শিশুকে হালকা গরম পানি খাওয়াতে হবে। হালকা গরম পানিতে শিশুকে গোসলও করাতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা হবে আর গ্যাসও বের হয়ে যাবে।
>> বুকের দুধের বদলে অনেকেই শিশুকে বাইরের দুধ খাওয়ান। এতেও অনেক সময় শিশুর পেটে গ্যাস জমতে পারে। ফর্মুলা মিল্কে থাকা কিছু উপাদান শিশুর পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে। নিয়মিত এমনটি হলে ফর্মুলা মিল্ক খাওয়ানো বন্ধ করুন।
>> প্রতিদিন কয়েক মিনিটের জন্য শিশুকে ব্যায়াম করান। যেমন- শিশুকে উল্টো করে কিছুক্ষণ শুইয়ে রাখুন। তার হাত-পা ম্যাসেজ করে দিন। এতে পাকস্থলীয় ক্রিয়াকলাপ বাড়ে।
>> ২-৫ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রেও গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস ও শারীরিক কসরতের অভাবে। বর্তমানে শিশুরা খেলাধুলা করার সময় ও সুযোগ কোনোটিই পায় না। যা তাদের জন্য শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
>> শিশুকে সবসময় বসে খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। শুয়ে খাওয়ালে শিশুর মুখে বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এতে শিশুর পেটে গ্যাস হতে পারে।
নদী বন্দর / পিকে