বরযাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৭ জনের মরদেহসহ ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত এখনো ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাতিয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ আকরাম উল্যা।
এদিকে সকালে কোস্টগার্ডের ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি টিম নিখোঁজদের উদ্ধার করতে হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
নিখোঁজ ৮ জন হলেন- হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের থানার হাট এলাকার নাসির উদ্দিনের স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৫৫), একই এলাকার কাদেরর ছেলে হাসান (৭), মেয়ে নারগিছ বেগম (৪), একই এলাকার রুবেলের মেয়ে হালিমা (৪), একই এলাকার মহি উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (৩), একই এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নিহা (১), একই এলাকার ইলিয়াছের ছেলে আমির হোসেন (৬), ও রহিমের ছেলে আলিপ (১)।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে নিহত ৭ জনের মরদেহ আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাতিয়া কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার মোহাম্মদ আলী জানান, নিখোঁজ ৮ জনকে খোঁজতে ভোলা থেকে ডুবুরি দল আনা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে হাতিয়ার টাংকির ঘাট থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা এই উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একই ভাবে হাতিয়া নলচিরা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ আকরাম উল্যার নেতৃত্বে একটি টিম নদীতে কাজ করছে। তারা সকাল থেকে বিভিন্ন চরে জীবিত উদ্ধার হওয়া লোকজনকে তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে কনেসহ বরযাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হাতিয়ার চানন্দী ঘাট থেকে বরের বাড়ি ঢালচরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রলারটি ঢালচরের কাছাকাছি এলে প্রবল স্রোতে নদীতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এই ঘটনায় কনে তাছলিমাসহ ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ট্রলারের মধ্যে নারী পুরুষ শিশুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক ছিল বলে জানা যায়।
কনের বাবা ইব্রাহীম সওদাগর জানান, তার মেয়ে তাছলিমার সঙ্গে হাতিয়ার ঢালচরের বেলাল মেস্তুরীর ছেলে ফরিদ উদ্দিনের বিবাহ হয়। মঙ্গলবার তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বরের বাড়িতে নেয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সকলের পারিবারিক কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।
নদী বন্দর / পিকে