সরকারি মজুত বাড়াতে আরও ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল (নন-বাসমতি) আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য গত সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে খাদ্য অধিদফতর। প্যাকেজ-৪ এর আওতায় এই চাল কেনা হচ্ছে।
দরপত্র আহ্বানের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় আগামী ২৮ ডিসেম্বর দুপুর ১টা পর্যন্ত।
বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় সরকারের আমন সংগ্রহ কর্মসূচি ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে কমছে সরকারি মজুত। এই পরিস্থিতিতে বাজার সামাল দিতে আমদানিতে নেমেছে সরকার।
গত ২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ভারতের বীরভূমের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি কেজি চাল আমদানিতে খরচ হবে ৩৫ দশমিক ২৭ টাকা।
এরপর ৯ ডিসেম্বর ভারতের আরেকটি কোম্পানির কাছ থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। চালের মূল্য কেজি প্রতি ৩৪ দশমিক ২৮ টাকা।
একই দিন প্যাকেজ-৩ এর আওতায় ৫০ হাজার টন চাল আনতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে খাদ্য অধিদফতর। এক্ষেত্রে দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময় ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১টা। ওইদিনই দুপুর আড়াইটায় দরপত্র খোলা হবে।
গত বছরের তুলনায় এবার সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ অর্ধেকে নেমেছে। গত ১৪ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি খাদ্যশস্যের মোট মজুত ৭ লাখ ৭১ হাজার ৪০ টন, এরমধ্যে চাল ৫ লাখ ৫১ হাজার ২৯০ টন এবং গম ২ লাখ ১৯ হাজার ৭৫০ টন।
গত বছর একই সময়ে মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪২০ টন, এরমধ্যে চাল ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩০ টন এবং গম ৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৯০ টন।
নদী বন্দর / পিকে