মেঘালয় থেকে নেমে আসা যাদুকাটা নদীটি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ও বাদাঘাট ইউনিয়নের বড়গোপ টিলা এবং লাউড়েরগড় এলাকার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
দৃষ্টিনন্দন এই নদীটি এখন স্থানীয় এক শ্রেণির বালু ও পাথর খেকোদের কারণে ক্ষতবিক্ষত। সমস্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীর পাড় কেটে বালু ও পাথর উত্তোলন থামানো যাচ্ছে না। ব্যবসাটি অধিক লাভজনক হওয়ায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের সিন্ডিকেট শক্তিশালী। অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের কারণে ভাঙনের মুখে পড়েছে নদীতীরবর্তী ফসলি জমি, রাস্তা ও বিভিন্ন স্থাপনাসহ পুরো গ্রাম।
গতকাল বুধবার (২৪ মার্চ) যাদুকাটা নদীটির বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নদীর পাড় কেটে স্তূপ করে রাখা বালু ও পাথর নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম ও তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ।
এ সময় ৫০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৪০ হাজার ঘনফুট বালু উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়। নিলামে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে অংশ নিয়ে প্রতি ঘনফুট পাথর ৫২ টাকা এবং বালু ১৩ টাকা দরে কিনে নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সাঈদ এবং জাকির হোসেন। সরকারি ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ পাথরের মূল্য আসে ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং বালু ৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, জাদুকাটা নদীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তোলন করা বালু ও পাথর জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক মাঈদুল ইসলাম, র্যাব -৯ (সিপিসি-৩) সুনামগঞ্জের ডিএডি মো. জাহিদুল ইসলাম, তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ তরফদার, বিজিবি লাউড়েরগড় বিওপির হাবিলদার মোহাম্মদ আব্দুর রহিম প্রমুখ।
নদী বন্দর / পিকে