বর্তমান সরকারকে স্বাধীনতাবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রক্ত ঝরানোর দায় সরকারকে নিতে হবে। গত কয়েকদিনে সরকারের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে জনগণের ওপরে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। এভাবে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
সোমবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবসে মানুষ হত্যা ও পুলিশী হামলার অভিযোগে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সমাবেশে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। তখন জনগণ তা রায় দেবেন। জনগণ তার পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবেন। তখন স্বৈরাচারের পতন ঘটবে।’
সমাবেশে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারের পুলিশ বাহিনী এ পর্যন্ত ১৭ জনকে হত্যা করেছে। স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা দিবসে মানুষ হত্যা ও পুলিশী হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর মাধ্যমে স্বাধীনতাকে কলুষিত করেছে। মসজিদে হামলা করা হচ্ছে। দেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপি চায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক, না হলে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এই অন্যায় কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি বজলুল বাসিত, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
নদী বন্দর / জিকে