‘আপনারা আমার মনের মানুষ, প্রাণের মানুষ। আপনারা আছেন বলেই আমি আছি। আর আপনাদের প্রয়োজনেই এবং সুবিধার্থে, সময় বাঁচাতে, আমি এক মার্কেটেই সব আয়োজন রেখেছি। নিত্যপ্রয়োজনে আপনাদের পাশে ‘নিত্যহাট’।’
যশোরের বেনাপোলে আন্তর্জাতিকমানের ‘নিত্যহাট’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ‘নিত্যহাট’ মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা ও বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
লিটন আরও বলেন, ‘ঢাকা-কোলকাতা-দিল্লিসহ বিশ্বের যেকোনো জায়গার সমমানের খাবার এই ‘নিত্যহাটে’ই পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়; যাপিত জীবনের সব কিছুই কাপড়-চোপড়, জুতো-ছাতা, তেল-লবণ, চাল-ডাল, মাছ-মাংস, ওষুধ প্রসাধনী, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী থেকে শুরু করে যা কিছুই, অর্থাৎ বাঙালির জীবনে যা যা দরকার তার সবকিছুই এখানে পাওয়া যাবে। এমনকি এই হাটে নাগরিক জীবনের নিত্যসেবার জন্য একটি ক্লিনিক বা হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখানে ভারতের চেন্নাই থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসে বসবেন। যার ফলে শুধু বেনাপোল নয়, দেশের সকল এলাকার মানুষ যারা উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভারতে যান তারা এখানেই সেই সেবা পাবেন। এতে অনেকাংশে আমাদের দেশের টাকা দেশে থেকেই যাবে।’
মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর ঊষালগ্নে বেনাপোল জনপদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ও রুচি বিবেচনায় যাত্রা শুরু হয়েছে নিত্যহাটের।
‘জীবিকার দরকারে নয়-জীবনের দরকারে’ এমন স্লোগানে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বেনাপোল বাজারে ফিতা কেটে ‘নিত্যহাট’ মার্কেটের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
‘নিত্যহাট’ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ মজনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম, বেনাপোলের নারী উদ্যোক্তা রহমান চেম্বারের স্বত্বাধিকারী সাহিদা রহমান সেতু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমিতাভ দাস গুপ্ত, প্রবীণ ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, মাস্টার আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বেনাপোল জনপদের বিশিষ্ট মার্কেট মালিকরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। এরপরই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান নিত্যহাট পরিবারের প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দ্বার উন্মোচন করেন ফিতা কেটে। এরপর তিনি অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে মার্কেটের অভ্যান্তরে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন।
নদী বন্দর / এমকে