1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
আবারও সাতক্ষীরায় বাঁধ ভাঙন, পানিবন্দি কয়েক শত মানুষ - Nadibandar.com
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১
  • ২২৩ বার পঠিত

আশাশুনি খোলপেটুয়া নদীর রিং বাঁধ আবারও ধসে গেছে। এতে দয়ারঘাট ও আশাশুনি দক্ষিণপাড়াসহ চারপাশের নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কয়েক শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে প্রচণ্ড জোয়ারের কারণে নদীর দয়ারঘাটের দুটি ও আশাশুনির তিন জায়গা ভেঙে রিং বাঁধ বিলীন হয়।

আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম কুমার চক্রবর্তী জানান, খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের পানিতে জেলেখালি-দয়ারঘাট রিং বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে এলাকার মৎস্য ঘের, ঘর-বাড়ি নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। মাত্র কয়েকমাস আগে বাঁধটি দেয়া হয়। সুপার সাইক্লোন আম্ফানে আশাশুনির দশটি পয়েন্টে ভেঙে যায়। যার মধ্যে এই দয়ারঘাটও ছিল। তখন ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে বিকল্প রিং বাঁধ দেয়া হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো এ এলাকার মানুষের দুর্দশা বাড়তে শুরু করেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধটির ১০টি পয়েন্টে সংস্কার করা হলেও দুটি পয়েন্ট সংস্কার করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তখন কোনোমতে রিং বাঁধ দিয়ে দুটি পয়েন্ট আটকানো হয়েছিল। সোমবার জোয়ারের পানির চাপে সেই রিং বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। মঙ্গলবার দয়ারঘাটের দুটি ও আশাশুনির তিনটি পয়েন্ট ভেঙে রিং বাঁধ বিলিন হয়। এখন আশপাশের এলাকায় বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে।

আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম সেলিম রেজা মিলন জানান, খোলপেটুয়া নদীর দয়ারঘাট এলাকার বেড়িবাঁধটি দীর্ঘদিন ধরে ভঙ্গুর অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। দুপুরে প্রবল জোয়ারের তোড়ে তা ভেঙে জেলেখালি, দয়ারঘাট ও উপজেলা সদরের দক্ষিণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে কমপক্ষে শতাধিক বাড়ি এবং অর্ধশতাধিক মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে। ভাটা শুরু হলে স্থানীয়দের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ বাধার কাজ শুরু করা হবে।

তিনি আরও জানান, মৎস্য চাষ এই এলাকার প্রধান পেশা। আগের রেশ কেটে মানুষজন মৎস্য ঘেরে নতুন উদ্যমে মাছ ছেড়ে দিয়ে এখন তা প্রায় ধরার মত হয়েছে। এরমধ্যে আজ সকালে বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হতে শুরু করায় আবারো মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। অপরদিকে আশাশুনি জনতা ব্যাংকের সামনে দিয়ে নদীর জোয়ারের পানি ওঠাতে বাজারের ভিতর প্লাবিত হচ্ছে ফলে আশাশুনি সদর এখন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। ৫টি পয়েন্ট ভাঙনের সমাধান যদি দ্রুত না করা যায় তবে আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, পাউবোর কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করছে। রাতের মধ্যেই বাঁধ বেধে ফেলা যাবে বলে আশা করা যায়।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com