অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগবালাইয়ের প্রকোপ না থাকায় এ বছর পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তা দেখে চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি তরমুজ মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৩ হাজার চাষি তরমুজ আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি হেক্টরে ৩০ মেট্রিক টন উত্পাদন হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটা, ধুলাসার, বাবলাতলা, নয়াপাড়া, কলাপাড়া, ধানখালী, বালীয়াতলী ঘাটসহ সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি। কেউ ট্রলি থেকে তরমুজ নামিয়ে ঘাটে স্তূপ করছে। কেউবা ট্রলার বোঝাই করে তরমুজ উঠাচ্ছে। আবার বাজারজাত করতে ঐসব তরমুজ নৌযান বোঝাই করে প্রতিদিন ট্রাকে করে কেউবা উপজেলার আন্দারমানিক এবং রামনাবাদ নদী হয়ে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার অভিমুখে যাচ্ছে।
উপজেলার কাওয়ারচর গ্রামের তরমুজ চাষি বশার শিকদার বলেন, ‘কলাপাড়ার তরমুজ খেতে সুস্বাদু, আকাড় বড় ও রং লাল টুকটুকে হওয়ায় রাজধানী ঢাকার ক্রেতাদের কাছে খুবই পরিচিতি লাভ করেছে।’
কাওয়ারচর গ্রামে তরমুজ চাষি হারুন হাওলাদার বলেন, এ বছর তিনি ২৭ কড়া জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে জমির তরমুজখেত থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এখনো জমিতে তরমুজ রয়েছে।’
লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় কৃষক মো. মনির হাওলাদার বলেন, ‘১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমি পুরো খেতের তরমুজ ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কলাপাড়ার জমি তরমুজ আবাদের উপযোগী। এ কারণে ফলন ভালো হওয়ায় চাষিদের তরমুজ আবাদে আগ্রহ বাড়ছে। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে যারা তরমুজ চাষ করেছেন তারা ভালো ফলন ও দাম ভালো পেয়েছেন। ফলন আরো ভালো হলে প্রতি হেক্টরে তরমুজ উত্পাদন বেশি হবে বলে আশা রাখি।’
নদী বন্দর / পিকে