কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) থেকে দেশি-বিদেশি কোনও পর্যটক প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যেতে পারবেন না।
তবে সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের সব পর্যটন স্পট বন্ধের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সব প্রকার পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। এটা স্বাভাবিকভাবে গেল বছরগুলোর নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেয়ারি সিন্দাবাদ টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে কোনও জাহাজ চলাচল করবে না। এর আগে যেসব পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণে গিয়েছিল তাদের কেউও বুধবার ফেরত আনা হয়েছে।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ বাড়ায় দেশের বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট দু’সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে বন্ধের এই ধরণের কোনও নির্দেশনা আসেনি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলো বন্ধের এই ধরণের কোনও নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে কক্সবাজারের সব পর্যটন স্পটে পর্যটকদের আগমন সীমিত করা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ১৮টি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন স্পট বন্ধের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব, প্রশাসন, পর্যটন ব্যবসায়ীসহ সকলের সাথে বসে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করে যাবে।
সর্বশেষ ৩০ মার্চ কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪৯ জন। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা ৫ শতাংশের নিচে থাকলেও বর্তমানে তা ৩৫ শতাংশের উপরে।
নদী বন্দর / এমকে