করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণায় দেশে গণপরিবহন, শিক্ষাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৭ দিন বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধব্যবস্থা নিয়ে সচল রয়েছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত। তবে বেনাপোল বন্দর থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী সব ধরনের গণপরিবহন।
সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, লকডাউনের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়মে বন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া ট্রাকচালকরা আমদানি পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতও স্বাভাবিক রয়েছে জানান তিনি।
জানা যায়, হঠাৎ করে দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার প্রতিরোধে সরকার ১৮টি প্রস্তাবনা জারি করেন। কিন্তু জনসাধারণের সচেতনতার অভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু হার। অবশেষে বাধ্য হয়ে সরকার ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। এতে গণপরিবহন, শিক্ষাকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে পড়ে। তবে দেশের শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ সচল রাখতে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য, পণ্যপরিবহন লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়।
এদিকে বন্দরের কার্যক্রমের পাশাপাশি বেনাপোল কাস্টমসের কার্যক্রমও স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক। সকাল থেকে কাস্টমস হাউসে পণ্য ছাড়করণে কাজ করছেন সকলে।
বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী জানান, লকডাউনের মধ্যে বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য সময়ের মতো চালকরা মালামাল বহন করছেন। বন্দরে চলা ফেরার সময় চালকদের বিশেষ করে মাস্ক ও ডিপো ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, লকডাউনের মধ্যে এ পথে শর্তসাপেক্ষে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম বলে জানান তিনি। বর্তমানে মেডিকেল, বিজনেস ও কূটনৈতিক ভিসায় যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
নদী বন্দর / জিকে