নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় আজ আরও তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল। এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) দুর্ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি।
এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি গতকালই উদ্ধার করা হলেও আজ সকাল পর্যন্ত আরও তিনটি লাশ উদ্ধার করা গেছে। গতকাল ২০ জনের দেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরপূর্বক পরিবারপ্রতি ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে দাফনের জন্য।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১১ মাসের ও সাত মাসের দুটি শিশু এবং বিকাশ সাহা (২২) নামে আরেও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
এর আগে গত রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চটি সোয়া ৬টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীতে সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছলে এসকে-থ্রি নামে একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। নৌযানটিতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ২০ জন সাতঁরে তীরে উঠেছেন। যাদের মধ্যে আহত কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পরে সোমবার ভোর ৫টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী ও কোস্টগার্ড উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। বিকেল নাগাদ উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করে পাড়ে টেনে তোলা হয়। এসময় লঞ্চের ভেতর থেকে নারী, শিশু ও বেশ কয়েকজন পুরুষসহ আরও ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত ৫ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, লঞ্চ ডুবির এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের ৭ সদস্য বিশিষ্ট ও বিআইডব্লিউটিএ ৪ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যাদেরকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে