রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, একটি আধুনিক নৌপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে নৌচলাচল নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক ড্রেজারের মাধ্যমে অব্যাহতভাবে খনন কাজ চলছে।
তিনি বলেন, নৌপথের যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নদীর পরিবেশ রক্ষায় নৌযান মালিক ও যাত্রীসাধারণ উভয়েই সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। বিশেষ করে কালবৈশাখী মৌসুমে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন ও নৌআইন মেনে চলাসহ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আরো সতর্ক ও সচেতন থাকার জন্য আমি নৌপরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে একটি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় নৌপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হোক মুজিববর্ষে সকলের অঙ্গীকার।
বুধবার (৭ এপ্রিল) নৌনিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে একথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অভ্যন্তরীণ নদীপথে যাত্রী নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৭-১৩ এপ্রিল ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২১’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এবারের নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের শপথ, নিরাপদ রবে নৌপথ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, রূপসী বাংলার চিরায়ত সৌন্দর্য্যের অলংকার আমাদের নদ-নদী, খাল-বিল আর হাওর-বাঁওড়। নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে নৌপথ ও নৌযানের কোনো বিকল্প নেই। একবিংশ শতাব্দীর এই আধুনিক বাংলাদেশেও নদী আর নৌযানের গুরুত্ব কোনো অংশেই কমে যায়নি; বরং আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব মাধ্যম হিসেবে নৌপথের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি অধিকতর নিরাপদ নৌযাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে প্রতি বছর নৌনিরাপত্তা সপ্তাহ পালন একটি ইতিবাচক উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। আমি ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
নদী বন্দর / পিকে