গাজীপুরের কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ আত্মহত্যা বললেও নিহতের স্বজনরা দাবি করছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার গলায় মাফলার প্যাঁচানোর দাগ ছিল। ভুবনের চালা গ্রামে নিজস্ব পোল্ট্রি ফার্মে ঘুমিয়ে ছিলেন। কক্ষের বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে গলায় মাফলার প্যাঁচানো অবস্থায় সকালে তাকে ঝুলতে দেখে কর্মচারীরা জানান। আর্থিক দেনা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করে বৈদ্যুতিক পাখায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন স্বজনরা।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ভুবনের চালা এলাকার নিজের পোল্ট্রি ফার্মে নিহতের মরদেহ পাওয়া যায়। মৃত জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাউৎকোনা গ্রামের মৃত জবেদ আলী প্রধানের ছেলে। তিনি ২০০০ সালে কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ময়নাতদন্ত শেষে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের লেকচারার রোমান আল মামুন জানিয়েছেন, দেহে অ্যালকোহল জাতীয় কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ জন্য ক্যামিকেল (ভিসেরা) সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মহাখালীর সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আলম জানান, লাশের সুরতহাল থেকে আত্মহত্যা বলে পুলিশ ধারণা করছে। তবে পরিবারের সদস্যরা হত্যার অভিযোগ তোলায় মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নদী বন্দর / এমকে