শুক্রবার ছুটির দিনে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার পদ্মা তীরের শীতের রাতে ইলিশ খাওয়ার ধুম পড়ে। ককশিটের বরফে সংরক্ষিত তাজা ইলিশ তাৎক্ষণিক ভেজে পরিবেশন করা হয়। ইলিশের স্বাদ নিতে রাজধানী ঢাকাসহ নানা অঞ্চল থেকে ভোজন বিলাসীরা ভিড় করেন। পদ্মা সেতুর কারণে এই ভিড় আরও বেড়েছে।
বড় বড় ইলিশ কাটা হচ্ছে। পছন্দের পদ্মার ইলিশ বেছে নিয়ে কাটা-ধোয়ার পরই খাবার উপযোগী করতে তুলে দেয়া হয় চুলায়।
তেলে ভেজ গরম গরম পরিবেশনা। রাতে যেন ইলিশের উৎসব চারিদিকে। স্বাদ নিতে উপচে ভিড় পড়া পদ্মাতীরের হোটেলগুলোতে।
সুপার এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে দ্রুত চলে আসা যায় বলে রাজধানীসহ নানা অঞ্চল থেকে সপরিবারে বা বন্ধুদের নিয়ে দলে বলে এখানে ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে আসেন।
এক ভোজনরসিক বলেন, ‘ওরা এখানে আসলে প্রথমে আমাদেরকে ইলিশ দেখায়। তারপর আমরা পছন্দ করে ইলিশ নিতে হয়। নেয়ার পরে ওরা কেটে ভাজি করে দেয়। লেজেরও একটা স্পেশাল ভর্তা করে দেয়। যার জন্য আমাদের এখানে আসা।’
আরেক ভোজনরসিক বলেন, ‘মাওয়ার ইলিশের আলাদা টেস্ট আছে। যার জন্য বার বার মাওয়া আসতে ইচ্ছে হয়।’
কনকনে শীতেও হোটেলগুলোতে রাতভর চলে ইলিশের বিক্রি বেচাকেনা। নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
শিমুলিয়া হোটেল মালিক সমিতির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘যেহেতু পদ্মা সেহেতু হওয়াতে আমাদের বেচা-কেনা বেড়ে গেছে আমরাও অনেক খুশি। এখানে পর্যটক যারা আসে তারাও খেয়ে অনেক তৃপ্তি পায়।’
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘এখানে সাদা পোশাকে আমাদের পুলিশের টহল রয়েছে। মানুষের যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়টা নিশ্চিত করে থাকি।’
পদ্মার দেড় কেজি ওজনের ইলিশ খাবার উপযোগী করে বিক্রি হচ্ছে এখন ১৫ শ’ টাকায়।
নদী বন্দর / এমকে