শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, রমজানের সময় নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহরোধে সরকার আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি করোনা মহামারির এই লকডাউনের সময় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
তিনি বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের ওজন ও পরিমাপে কারচুপি রোধকল্পে চলমান মোবাইল কোর্ট ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) পরিচালিত সার্ভেল্যান্স কার্যক্রম আরও জোরদার করা হচ্ছে। জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারে, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বা প্রচার করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।
রোববার (১১ এপ্রিল) রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম এবং চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) চিনি বিক্রয় কার্যক্রম সম্পর্কে ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই কর্তৃক আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদারগণ সচরাচর যে সকল খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন এবং ইফতার সামগ্রীর উপর বিশেষ নজর রাখা হবে।
এদিকে শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনার এই মহামারীতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, নিম্নমানের ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সরবরাহরোধে বিএসটিআই কর্তৃক সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হবে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে ভোক্তাদের মাঝে মানসম্মত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির আহ্বান জানান তিনি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমের পণ্যের কৃত্রিম সংকট যাতে সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) লুৎফুন নাহার বেগম ও মোহাং সেলিম উদ্দিন (অ. দা. মান নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা সহায়তা), বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার ও বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপুসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর বা সংস্থার প্রধানরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / জিকে