ফুকুশিমা পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র থেকে ১০ লাখ টন দূষিত পানি সাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। বিষয়টির তাৎক্ষণিক নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জলবায়ু বিষয়ক সংস্থাগুলো। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে মৎস্য সম্পদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে এই দূষিত পানি নির্গমন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর জাপান সরকার বলছে, পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে লেগে যাবে কয়েক দশক।
বিষয়টি দেখভাল করবে পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার।
এ বিষয়ে দেয়া জাপান সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিয়ন্ত্রক মানদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আসা পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সমুদ্রে (পানি) নির্গমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
জানা গেছে, ৫০০টি প্রমাণ আকৃতির সুইমিং পুলের সমপরিমাণ এই পানিকে বিশুদ্ধিকরণ করা হয়েছে। তবে এর মধ্য থেকে ক্ষতিকর আইসোটোপ সরানোর জন্য পুনরায় ফিল্টার করার প্রয়োজন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই বিপুল পরিমাণ পানিকে বিশেষ প্রক্রিয়াকরণের (ডাইলুট) মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
এদিকে, জাপানের এ সিদ্ধান্ত ‘কোনোভাবেই মানা সম্ভব না’ বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ বিষয়ে দাফতরিক অভিযোগ করা হবে বলেও জানায় দক্ষিণ কোরীয় প্রশাসন।
ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে জনগণের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সিউলে জাপান দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদে শামিল হন কিছু মানুষ। তারা জাপানের এ সিদ্ধান্তকে ‘পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাপানের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস জাপান।
এ বিষয়ে এক পিটিশনে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৪ জন মানুষের সই নিয়েছে সংগঠনটি।
নদী বন্দর / এমকে