সোমবার (১২ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র প্রধান ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরাও সমাজ এবং অর্থনীতি পুনরায় খোলা দেখতে চাই। দেখতে চাই ভ্রমণ ও বাণিজ্য আবারও সচল হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে অনেক দেশে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলো উপচে পড়ছে আর মানুষ মারা যাচ্ছে। আর এগুলো সম্পূর্ণভাবে এড়ানো সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারি অবসানের এখনও অনেক বাকি। কিন্তু আমাদের আশাবাদী হওয়ার বহু কারণ রয়েছে। এই বছরের প্রথম দুই মাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর পরিমাণ কমে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এই ভাইরাস এবং এর ভ্যারিয়েন্টগুলো থামানো সম্ভব।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র করোনা বিষয়ক টিম লিডার মারিয়া ভান কেরকোভ ওই সংবাদ সম্মেলনে জানান, মহামারি খুব বেশি পরিমাণে বাড়ছে। গত সপ্তাহে আক্রান্ত বেড়েছে নয় শতাংশ। আর বিগত টানা সাত সপ্তাহ ধরে আক্রান্তের পরিমাণ বাড়ছে। একই সময়ে মৃত্যু বেড়েছে পাঁচ শতাংশ।
সংস্থা প্রধান বলেন, কয়েকটি দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও রেস্টুরেন্ট, নাইটক্লাবগুলো পূর্ণ থাকছে আর মার্কেটগুলোও খোলা থাকছে। আর এসব স্থানে সমাগম করা মানুষের খুব অল্প পরিমাণই সতর্কতা অবলম্বন করছে।
সংস্থা প্রধান আরও বলেন, ‘কেউ কেউ মনে করছে অপেক্ষাকৃত তরুণ হলে করোনায় সংক্রমিত হলেও তাদের কিছু হবে না। বিষয়টি তেমন নয়।’
এদিকে, ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮ হাজার ৭৬১ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮৮ হাজার ২৭১ জন। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৯ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৫২ হাজার ৬২১ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ কোটি ৪ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৩ জন।
নদী বন্দর / পিকে