1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মামলার রায়ের কপি পেতে যেন ঘুরতে না হয়: রাষ্ট্রপতি - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১০৯ বার পঠিত

বিচারপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বিচারপ্রার্থীদের মামলার রায়ের পর রায়ের কপি (অনুলিপি) পেতে যেন ঘুরতে না হয়। একই সঙ্গে চলমান মামলার সংখ্যা আয়ত্তে আনতে বিচারপতিদের আরও বেশি কাজ করতে হবে।সুপ্রিম কোর্ট দিবস ২০২০ উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিওবার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’। মনে রাখতে হবে একজন বিচারপ্রার্থীর ন্যায়বিচার পাওয়া তার অধিকার। আর নাগরিকের সে অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এখানে দয়া বা আনুকূল্যের কোনো বিষয় নেই। দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বিচারক, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন-এটাই সবার প্রত্যাশা।

 আবদুল হামিদ বলেন, আমি নিজে একজন আইনজীবী হিসেবে জানি বিচারকাজ কতো কঠিন ও জটিল। বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় একজন বিচারককে কতটা পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু তারপরও আমি বলবো মামলা দিন দিন যে হারে বাড়ছে সেটাকে আয়ত্তের মধ্যে আনতে হলে বিচারকদের আরও বেশি কাজ করতে হবে। সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু বিচারকদের খেয়াল রাখতে হবে মামলার রায় হওয়ার পর রায়ের কপি পাওয়ার জন্য বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় দিনের পর দিন ঘোরাঘুরি করতে না হয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নাগরিকদের আয় ও সুবিধার ভিন্নতা বা আর্থিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে কেউ যাতে ন্যায় বিচার বা আইনের সমান আশ্রয়লাভ থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করতে গঠিত হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা। আশা করি, এর মাধ্যমে দেশের আদালতে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও দুর্গত বিচারপ্রার্থীরা মামলার শুরু থেকে নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত সব আইনগত সহায়তা পাবে।তিনি বলেন, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে অনলাইন কজলিস্ট চালু হয়েছে এবং অনলাইন বেল কনফার্মেশন ব্যবস্থা কার্যকরভাবে চলছে। আমি একইভাবে আদালতের সমস্ত কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

 ৭৫ পরবর্তী সময়ের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, নিজেদের স্বার্থে জাতীয় সংসদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে ৫ম ও ৭ম সংশোধনী এনে সেসব কুকীর্তিকে বৈধতা দেওয়ার হীন চেষ্টা করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন সুসংহত করতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com