অর্থ নিজেদের হলেও ১৪ দেশের প্রকৌশলগত অভিজ্ঞতায় নির্মাণ হচ্ছে পদ্মা সেতু। সেতুর জটিলতা কাটাতে বিশ্বসেরা মেধা ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতিটি কাজে। করোনা পরিস্থিতি সামলে সামনের দিনগুলোতে আরও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ কাজে যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে সেতু মন্ত্রণালয়।
দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর সবগুলো স্প্যান বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতা। জনগণের টাকায় দেশের সেতু। তবে এ সেতুর পিছনে কাজ করছে দেশি বিদেশি হাজারো মানুষের দক্ষতা।
সেতুর কাজ শুরুর আগে থেকেই জানা ছিলো, সহজ নয় পদ্মার মতো খরস্রোতা নদীতে নির্মাণ কাজ। বিশ্বসেরা প্রকৌশলগত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে সংযুক্ত করা হয়েছে কঠিন ও জটিল এ নির্মাণ কাজে। বাংলাদেশ সেতু বিভাগের অধীনে নির্মাণের ঠিকাদারি কাজ করছে চীনের মেজর ব্রিজ কোম্পানি। তবে নির্মাণ কাজের শুরু থেকে তদারকির কাজটি করছে ১৪ দেশের মেধা।
সেতুর বিভিন্ন কাজে পরামর্শক দলে কাজ করা দেশগুলো হলো-বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল ও ফিলিপাইন। মূল সেতুর পরামর্শক কমিটিতে কাজ করা ১১ সদস্যের মধ্যে আছেন ৬ জন বাংলাদেশি এবং ৫ জন বিদেশী।
প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন নতুন পরামর্শক যোগ দিচ্ছেন বলে জানালেন সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
২০১৫ সালে সেতুর ২২টি পিলারের নকশা জটিলতা দেখা দিলে বিশ্ব সেরা ১০টি প্রতিষ্ঠান এর সমাধানে কাজ করে। শেষ পর্যন্ত দেড় বছর সময় নিয়ে তারা এর সমাধান করেন।
নদী বন্দর / এমকে