শতকরা ২৫ শতাংশ শুল্ক কর দিয়ে সরকারের স্বর্তাবলি মেনেই ৩৭০ থেকে ৪২৫ ডলারের মধ্যে প্রতি মেট্রিকটন চাল আমদানি করছে আমদানি কারকেরা। লক-ডাউনের কারনে এদিকে প্রকার ভেদে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দেড় থেকে ২ টাকা। নতুন করে আমদানির অনুমতি না পাওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি কমতে শুরু করেছে।
স্বল্প সময়ের মধ্যে চালের বাজার মুল্য স্বাভাবিক রাখতে চাল আমদানির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন সরকার। ফলে ১০ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন নন-বাসমতি চাল আমদানির অনুমতি পায় আমদানিকারকেরা। ফলে আমদানি কারকগন প্রচুর চাল আমদানি করায় বন্দরের পাইকারি বাজারে কেজিতে ৩/৪ টাকা কমে গেলেও পরে তা স্থিতিশীল হয়ে আসে।
এদিকে লক-ডাউনের কারনে গেলো তিন দিন থেকে কেজি প্রতি দেড় থেকে ২ টাকা বেড়ে যায় চালের দাম। সরকার আর নতুন করে চালের আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় চালের আমদানি কমে গেছে। আর অল্প দিনেই চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে, বলছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন।
এদিকে বন্দরের পাইকারি ক্রেতাগন বলছেন, লক-ডাউনে প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। গত তিন দিনের ব্যবধানে স্বর্না চাল প্রতি কেজি ২ টাকা দাম বেড়ে ৪১/৪২ টাকার চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৩/৪৪ টাকায় । ২৮ চাল ৪৬টাকা থেকে ৪৮ টাকায়, সম্পাকাটারি ৫৫ টাকা থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড এর গন সংযোগ কর্মকর্তা সওরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জানান, চাল আমদানি অনেকাংশে কমেছে। তিনি আমদানিকারকদের বরাত দিয়ে আরও জানান, সরকার থেকে যতটুকু চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে তার অতিরিক্ত আর নতুন করে হয়তোবা আর অনুমতি আসছে না।
হিলি কাষ্টমস সুত্রে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ মাস ৫ দিনে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আর এর বিপরিতে রাজস্ব এসেছে ১২৯ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ও দিকে সরকার শতকরা ২৮ থেকে ৬০ শতাংশ চালের শুল্ক হার বৃদ্ধি করায় গত ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
নদী বন্দর / এমকে