লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পরকীয়া সম্পর্কের অবনতির জেরে নাছরিন আক্তার মৌসুমি নামের এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজনের গণপিটুনিতে কথিত প্রেমিক মো. রাসেলেরও মৃত্যু হয়।
রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলে নাঈমুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নিহত নাছরিন ওই বাড়ির প্রবাসী সফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও রাসেল একই এলাকার বলি মোল্লা বাড়ির ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাসেলের সঙ্গে নাছরিনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্কের সুবাদে রাসেলের মোবাইলে নাছরিনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ছিল। কয়েক মাস আগে রাসেল তার ব্যবহৃত মোবাইলটি অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেন। পরে ওই মোবাইলে থাকা নাছরিনের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে তার সঙ্গে রাসেলের বিরোধ চলছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নাছরিনকে রাসেল হত্যা করতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
নিহত নাছরিনের মেয়ে জানায়, রাসেল তার মাকে ফোন করে প্রায়ই বিরক্ত করতেন। সম্প্রতি তাদের নতুন বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রাসেলকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর তিনি তার মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। চুরির ঘটনার জেরেই বসতঘরে ঢুকে রাসেল তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দেন।
রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নদী বন্দর / পিকে