পঞ্চগড়ের বোদায় এবারে বোরো ধানকে ঘিরে মাঠ জুড়ে দোল খাচ্ছে প্রান্তিক কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। এ বছরে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার প্রান্তিক চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠগুলোতে যেন সবুজের সমারোহ। উপজেলার বৃস্তির্ণ মাঠ জুড়ে চাষ হয়েছে বোরো ধানের। মাঠের দিকে তাকালে যেমন চোখ জুড়ে যায়, তেমনি ধানের ফলনের মাত্রার দিকে তাকালেও যেন এক আত্মতৃপ্তি আসে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার বোরো ধান চাষিরা।
বোদা পৌর এলাকার সর্দারপাড়ার ধানচাষি মাজহারুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরে ধানের তেমন কোন রোগ বালাই না থাকার ফলে গত বছরের ন্যায় এবারো ধানের বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে গত বছরের ন্যায় এবারো ধানের বাম্পার ফলন সহ উচ্চ দামে বোরো ধান বিক্রয় সম্ভব হবে। তিনি বলেন যে এলাকায় উচ্চ ফলনশীল আটাশ, ব্রি-ধান-২৯, ব্রি-ধান-৫৮, ব্রি-ধান-৭৪, ছাড়াও বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের ও স্থানীয় জাতের ধানের চারা রোপন করা হয়েছে।
উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের মীরপাড়ার কৃষক জয়নুল ও কৃষক সৈয়দ আলী জানান যে, অধিকাংশ জমিতে বোরো ধান বের হওয়া প্রায় শেষের দিকে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে চলতি মৌসুমে তারা বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন। বোরো চাষিরা যেন সঠিক ভাবে ফসল চাষাবাদ ও পরিচর্যা করতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রেখে উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তৃণমূল পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ মাঠে গিয়ে সার্বিক পরামর্শ দিচ্ছেন ।
এ ব্যাপারে বোদা উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন অর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে ১৪ হাজার ১শত হেক্টর ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় অল্প সময়ে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ করছেন। এ বছর আবহওয়া আনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন ও ন্যায্য মূল্য পেলে এ এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। ধানের নায্য মুল্য পাওয়া কৃষকরা বেশি করে ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
নদী বন্দর / এমকে