করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৬২ জন ও নারী ৩৬ জন। মৃতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯২ জন এবং বাসায় ছয়জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বৈশ্বিক এই মহামারিতে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৭৮১ জনে।
একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ১৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জনে।
এর আগে গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০১ জন এবং ১৮ এপ্রিল ১০২ জন মারা যান। আর গত ১৯ এপ্রিল (সোমবার) ১১২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। যা একদিনে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সবশেষ বুধবার (২১ এপ্রিল) দেশে ৯৫ জনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৩৪৯টি সরকারি-বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে মোট ২৭ হাজার ৭৮৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে এদিন ২৭ হাজার ৪২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ৪ হাজার ১৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। তবে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের গড় হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এদিকে একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ হাজার ২৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ৬ লাখ ৪২ হাজার ৪৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে দশোর্ধ্ব দুইজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৫৯ জন। বিভাগওয়ারি হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৫৫ জন, চট্টগ্রামে ২০ জন, রাজশাহীতে ছয়জন, খুলনায় পাঁচজন, সিলেটে চারজন, রংপুরে তিনজন এবং ময়মনসিংহে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
নদী বন্দর / জিকে