1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
যে কারণে 'ফাতেমা ধান' চাষ করে ব্যাপক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন রিয়াজুল - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৭৬ বার পঠিত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলাতেও শুরু হয়েছে ফাতেমা ধানের চাষ। আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা পশ্চিমপাড়া গ্রামের তরুণ যুবক রিয়াজুল ইসলাম তার ৭৫ শতাংশ জমিতে ব্যতিক্রম এই ধান চাষ করেছেন। ইউটিউবের মাধ্যমে ফাতেমা ধানের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হন যুবক রিয়াজুল।

জানা গেছে, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগমের কথামতো ছেলে লেবুয়াত শেখ নিজেদের জমিতে ধান চাষ করে তিনটি শীষ খুঁজে পান। পরে সেই শীষের ধান বুনে পান দুই কেজি বীজ।

সেই বীজ এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে লেবুয়াত শেখ ৩৫ মণ ধান ঘরে তোলেন। যেখানে অন্যান্য ধানের ফলন বিঘা প্রতি ১৮ মণের বেশি পাওয়া সম্ভব ছিলো না। পরবর্তীতে কৃষক লেবুয়াতের মা এই ধানের উদ্ভাবক হওয়ায় তারা মায়ের নামানুসারে এই ধান ‘ফাতেমা ধান’ হিসেবেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পরিচিতি পায়।

এ ধানের গাছ, ফলন, পাতা, শীষ সবকিছু অন্য যে কোনো জাতের ধানের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি গোছে একটি চারা রোপণ করা হয়, যা বেড়ে ৮-১২টি হয়। প্রতিটি ধান গাছ ১১৫ থেকে ১৩০ সেন্টিমিটার লম্বা। এক একটি ছড়ার দৈর্ঘ্য ৩৬-৪০ সেন্টিমিটার। প্রতি ছড়ায় দানার সংখ্যা ১ হাজার থেকে ১২০০টি। যার ওজন ৩০-৩৫ গ্রাম।

ধানগাছের পাতা লম্বা ৮৮ সেন্টিমিটার, ফ্লাগলিপ (ছড়ার সঙ্গের পাতা) ৪৪ সেন্টিমিটার। ধানগাছের পাতা চওড়া দেড় ইঞ্চি। এই জাতের গাছের কাণ্ড ও পাতা দেখতে অনেকটা আখ গাছের মতো এবং অনেক বেশি শক্ত। তাই এই ধান ঝড়-বৃষ্টিতে হেলে পড়ার কোন আশঙ্কা নেই। ফাতেমা ধান একর প্রতি ফলন হয় প্রায় ১৩০ মণ। তাই অন্য যে কোনো জাতের তুলনায় এই জাতের ধান অনেক ব্যতিক্রম।

paddi2

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা পশ্চিমপাড়া গ্রামে যুবক রিয়াজুল ইসলাম তার ৭৫ শতাংশ জমিতে এই ধান চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ধান পাকতে শুরু করেছে। ৮-১০ দিন পর থেকেই ধান কাটা শুরু হবে।

রিয়াজুল ইসলাম জানান, ‘ইউটিউবের মাধ্যমে ফাতেমা ধানের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রায় ৬ মাস অপেক্ষা করার পর বাগেরহাটের কৃষক লেবুয়াতের মায়ের নিকট থেকে বীজ সংগ্রহ করি। এরপর প্রাথমিকভাবে আমার ৭৫ শতাংশ জমিতে এ ধানের চাষ করি।

এতে সবকিছু মিলে মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি ঠিকমতো বাড়িতে না থাকায় ধানের সঠিক যত্ন নিতে পারিনি। তারপরেও আমি আশাবাদী এতে প্রায় ৯৫-১০০ মণ ধান হবে। এই ধান উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার বলেও তিনি দাবি করেন।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিপন প্রসাদ সাহা জানান, বাগেরহাটের কৃষক কর্তৃক উদ্ভাবিত ফাতেমা জাতের ধানের রয়েছে নানা বৈশিষ্ট্য। এ ধানের ফলন শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বকে তাক লাগাতে পারে। যা দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে। যুবক রিয়াজুলের ইসলামের পরীক্ষামূলক ধান চাষে বাম্পার ফলন হবে জানিয়ে তার উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান।

নদী বন্দর / এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com