কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘আমরা এমন প্রযুক্তি দিচ্ছি, যার মাধ্যমে কৃষক ঝুঁকিমুক্তভাবে জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন। এ জন্য কম সময়ে কাটা যায় এমন ধানের জাতও আবিষ্কার করা হচ্ছে।’
রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় সাধরের হাওরে কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে কৃষকদের ধানকাটা উৎসব পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘হাওরে কৃষকদের বোরো ধান সময় মতো কেটে ঘরে তোলা নিশ্চিত করতে নানা প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করেছে সরকার। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও ফসলের উন্নত জাত আবিষ্কারের মাধ্যমে ধানকাটা, লাগানো ও শুকানোর মেশিন দেয়া হচ্ছে।’
কৃষি যান্ত্রিকীকরণে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘৭০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের জন্য কম্বাইন্ড হারভেস্টার, ধান মাড়াই, শুকানোসহ বিভিন্ন যন্ত্র দেয়া হচ্ছে।’
দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নানা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ পায়, এ জন্য লটারির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে করে কৃষকদের ধান বিক্রি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না।’
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে ধানকাটা উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এবার জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ দুই হাজার ৫০০ হেক্টরই হাওরে। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত হাওরে ৫৩ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে