1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বেঁচে থাকার খোরাক যখন নদীতে - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৯৮ বার পঠিত

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর তীরে কয়েক হাজার পরিবারের বসবাস। এদের অধিকাংশের প্রধান আয়ের উৎস মাছ ধরা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাছ ধরেন তারা। এরপর বিক্রি করেন স্থানীয় মাছ-বাজারে। তাদের বেঁচে থাকার সব খোরাক মেলে নদী থেকে।

ভারানীবাজার মাছ-ঘাট সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর পাড়ে কথা হয় মো. আবু তাহেরের সঙ্গে, তাঁর বয়স ৫৫। তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ সাত সদস্যের পরিবার তাঁর। প্রতিদিন ঠেলা জাল নিয়ে নদীতে আসেন মাছ ধরতে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মাছ ধরে দুই তৃতীয়াংশ মাছ বাজারে বিক্রি করে চাল, ডাল ও অন্যান্য বাজার করেন। বাকি অংশ নিয়ে যান পরিবারের জন্য।

ভরদুপুরে ঠেলা জাল নিয়ে মাছের সন্ধান করছিলেন আবু তাহের। মাছ কেমন পেয়েছেন জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘আল্লাহ দিছে ২০০ টাকার মতো মাছ পেয়েছি।’

এই নদীর তীরে তাঁর বাবার আমল থেকে প্রায় ৬০ বছর ধরে আছেন। তাঁর বাবাও ছিলেন একজন জেলে। সে-ই ছোটবেলা থেকে নদীতে মাছ ধরেন। ছিল নদীতে মাছ ধরার একটি ট্রলার। কয়েকজন জেলে কাজ করত তাঁর ট্রলারে। ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবে যায়; তার হদিশ আর মেলেনি। এদিকে এই বৃদ্ধ বয়সে অন্যের মাছ ধরার ট্রলারে কাজ করতে না পারায় প্রতিদিন এভাবেই ঠেলা জাল দিয়ে মাছ ধরেন।

ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরার সময় কথা হয় মো. আল আমিনের সঙ্গে। মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন। পরিবারের পাঁচ সদস্যর মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ১০ বছর ধরে এই কাজ করে চলেছেন।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com