কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় চটেছেন ক্রেতারা। সিন্ডিকেট করে পিস হিসাবে কিনে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। আর এতে ক্রেতাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বইছে সমালোচনার ঝড়।
বৈশাখের খরতাপের মতোই আগুন লেগেছে তরমুজের বাজারে। চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এমনিতেই করোনা মহামারিতে মানুষের আয় কম, তার মধ্যে তরমুজের দাম বাড়তি। এতে তরমুজ এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই বলা চলে।
গ্রীষ্মকালের গরমে তরমুজের চাহিদা থাকে আকাশচুম্বী। ক্রেতাদের এ দুবর্লতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পিস হিসেবে কিনে শহরের বিভিন্ন যায়গায় কেজিতে বিক্রি করছেন।
তরমুজ ক্রেতা মেহেদি হাসান রাব্বি জানান, এর আগে তরমুজ আমরা পিস হিসাবে কিনেছি। কিন্তু এবার বেশি টাকা লাভের আশায় কেজি দরে বিক্রি করছে। এত ভারি একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না। তার মধ্যে এর খোসাই হয় এক থেকে দেড় কেজি।
ক্রেতা সুজন জানান, তরমুজের দাম কেজিতে ৬০ টাকা রাখা হচ্ছে। জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে এ ফলটি। এরকম অতি মুনাফা লোভীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
তিনি বলেন, বরিশালে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছে। পটুয়াখালীতেও এ অভিযান চালানো উচিৎ।
পটুয়াখালী শহরের নিউমার্কেট এলাকার তরমুজ বিক্রেতা শামীম জানান, সব জায়গায় এখন তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ১৫ দিন আগেও কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন দামটা একটু বেশি।
জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ চাষি সুহানের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, এ বছর তরমুজ বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা লাভ করেছেন। শতক (১০০) হিসেবে তরমুজ বিক্রি করেছেন। ১০ থেকে ১২ কেজির তরমুজের শতক তিনি ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আর ৫ থেকে ৭ কেজির তরমুজের শতক বিক্রি করেছেন ১৪-১৫ হাজার টাকায়।
রাঙ্গাবালীর আরেক তরমুজচাষি মো. কবির জানান, এবার ৭০ লাখ টাকার মতো তরমুজ বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছেন। পাইকাররা আমাদের কাছ থেকে শতক হিসেবে কিনে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাস জানান, এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
নদী বন্দর / পিকে