প্রতিদিনই ভারতে বাড়ঝে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। দিন যত গড়াচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের করোনা মহামারি ততবেশি ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। আর এর মাঝেই ভারতের সীমান্তবর্তী হিলি স্থলবন্দর দিয়ে স্বাভাবিক রয়েছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের মধ্যেই দেখা গেছে চরম উদাসীনতা। অনেকেই পরছেন না মাস্ক। দু-একজনের মুখে যদিও মাস্ক দেখা গেছে তাও ছিল থুতনির নিচে কিংবা ঝুলে ছিল গলার কাছে। আর স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণ হিসেবে তাদের রয়েছে নানান অজুহাত।
বন্দরটিতে মালামাল লোড আনলোডের কাছে নিয়োজিতদের মধ্যেও নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার সচেতনতা। মাস্ক ছাড়াই বন্দরের ভেতরে চলছে লোড-আনলোডের কাজ, অন্যদিকে পিপি ও মাস্ক ছাড়াই বন্দরে অবাধে চলাচল করছে ভারতীয় ট্রাক চালকরা। এতে করোনা ভাইরাসের চরম ঝুঁকিতে স্থানীয়রা।
অপরদিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ট্রাকচালকরা তারাও জানে না কীভাবে মানতে হয় স্বাস্থ্যবিধি। গত বছর ৭ জুন থেকে শর্তসাপেক্ষে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চালু করা হয় হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। প্রথমদিকে বন্দরে ৪০টি ট্রাক আমদানি অনুমতি পেলেও এখন তা ছাড়িছে ২০০ ট্রাকে।
বন্দরে পৌরসভার কাজের দায়িত্বে থাকা এক অফিস কর্মচারিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সে সময় সংবাদের ক্যামেরা দেখে মুখে মাস্ক পড়ে নেন।
ফরিদপুর থেকে বন্দরে বোল্ডার নিতে আসা এক ট্রাক ড্রাইভারের মুখে মাস্ক না থাকার কারণ হিসেবে গাড়ির ভেতর একা থাকার অজুহাত দেখান।
একই অজুহাত দেখান বন্দরে পেঁয়াজ পরিবহনের জন্য আসার আরেক ট্রাকচালক।
নদী বন্দর / পিকে