করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আরও দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হতে পারে। শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার সুবিধার্থে তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।
বুধবার (২৮স এপ্রিল) দুপুরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একজন এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম, তো এখানে অসুস্থ হয়ে এসে ভর্তি হয়নি, নিয়মিত চেক-আপের পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে যেহেতু একসাথে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়নি তাই হাসপাতালে থেকেই তার পরীক্ষা নিরীক্ষার কথা ভাবা হয়।’
হাসপাতালে কতদিন থাকতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তো নির্ধারিত কিছু না। বলা যায় না যে কয়দিন থাকবেন, তবে আজ আর কাল কিছু টেস্ট করানো হবে। সেগুলো রিভিউ করে দেন (তারপর) সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আজ আর কাল হাসপাতালে আছেন।’
এখন পর্যন্ত যে টেস্টগুলো করানো হয়েছে সেগুলোর ফলাফল কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যা দেখলাম ওভার অল সব ঠিক আছে। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।’
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। পরে রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে পৌঁছান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গৃহকর্মী ফাতেমা।
এছাড়া হাসপাতালে আসেন খালেদার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. আল মামুন ও ডা. এফ এম সিদ্দিকী এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সে সময় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘ম্যাডামের কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।’
গত শনিবার খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার কথা জানিয়ে তার চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী গণমাধ্যমে বলেন, তার আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। তারপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলেন, সিটি স্ক্যানে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে খুবই সামান্য সংক্রমণ হয়েছে। যা সত্যিকার অর্থে মাইল্ড পর্যায়েও পড়ে না। তাই খালেদা জিয়ার আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত করা হয়।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার বাসভবন ফিরোজার আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনিসহ চারজন করোনা আক্রান্ত আছেন।
নদী বন্দর / জিকে