নোয়াখালীর উপকূলে নতুন জেগে উঠা বিস্তৃর্ণ চরগুলো পর্যায়ক্রমে দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। এদিকে এ চরগুলোতে থাকা সবুজ তৃণভূমি হারিয়ে দিশেহারা এখানকার পশু মালিকরা।
জানা যায়, নোয়াখালীর হাতিয়ার জাহাইজ্যার চরে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে গরু, মহিষ, ভেড়া ও দুগ্ধ উৎপাদন করে আসছে স্থানীয়রা। এ চরে আছে প্রায় লক্ষাধিক গরু, মহিষ ও ভেড়া।
এখান থেকে প্রতিদিন দুধ উৎপাদন হয় প্রায় দশ হাজার লিটার। সম্প্রতি রতন ব্যাপারী নামের এক ব্যক্তি লাল পতাকা উড়িয়ে দলবল নিয়ে চরটি দখলে নামেন। বর্তমানে এখানে পশুপালনে বাধা দিচ্ছেন তিনি।
নতুন করে এ চর দখলকারী রতন ব্যাপারী সরকার থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে দখলের কথা বললেও কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি।
এদিকে বাপ-দাদার আমল থেকে শিখে আসা পেশা হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন এখানকার কয়েক হাজার পশু মালিক।
এছাড়া জাহাইজ্যার চরের মতো নঙ্গোলিয়ার চর, কেরিং চর, বয়ার চর, ঘাসিয়ার চরসহ অন্তত ১২টি চর ইতোমধ্যে দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। কমে গেছে গরু, মহিষ, ভেড়া ও দুগ্ধ উৎপাদন। পশুপালন ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন অনেকে।
জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খাঁন বলেন, অবৈধভাবে চরগুলো দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচরে সরকারি হিসেবে গরু ও মহিষ আছে এক লাখ তিন হাজার আর ভেড়া আছে ২২ হাজার।
নদী বন্দর / এমকে