মেক্সিকোর ইউকাতান উপদ্বীপে গুহার ভেতরে যেতে যেতে চোখে পড়বে এ রকম অসংখ্য হাতের ছাপ। সব মিলিয়ে মোট ১৩৭টি হাতের ছাপের সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। হাতের ছাপের সবই কালো ও লাল রঙের।
ধারণা করা হচ্ছে এগুলো প্রাচীন মায়া সংস্কৃতির অংশ বিশেষ। হাতের ছাপের বেশির ভাগই শিশুদের। হাতের ছাপের আকৃতি, রং, ও অন্যান্য বিষয় বিশ্লেষণ করে প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, বয়ঃসন্ধিকালে প্রবেশের সময় শিশুরা এই ছবি এঁকেছে। এক হাজার ২০০ বছর আগে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্য আমেরিকায় গণিত ও শিল্পকর্মে উৎকর্ষতার সময় এগুলো আঁকা হয়েছে বলেও ধারণা করছেন তারা।
প্রত্নতত্ত্ববিদ সার্জিও গ্রোসহিয়ান বলেন, শিশুরা দেয়ালে কালো রঙে হাতের ছাপ এঁকেছে। কালো রং মৃত্যুকে ইঙ্গিত করে। তবে এর মানে এই নয় যে তারা হত্যার শিকার হতে যাচ্ছে। বরং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই হাতের ছাপ দিয়ে মৃত্যুকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর লাল রং দিয়ে যুদ্ধ ও জীবনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে শিশুরা।
হাতের ছাপের পাশাপাশি গুহাটিতে বিভিন্ন ভাস্কর্য ও বেশকিছু শিল্পকর্মের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেগুলোর বয়স ৮শ’ থেকে এক হাজার বছর পুরনো।
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের পাশাপাশি গুয়াতেমালা ও বেলিজে এখনো অনেক মায়া সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস।
নদী বন্দর / এমকে