গণপরিবহন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। রোববার (২ মে) সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিকরা সমাবেত হয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
এদিন সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকরা গাবতলীতে অবস্থান নেন। এসময় তারা সরকারের কাছে দ্রুত গণপরিবহন চালুর দাবি জানান। দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শ্রমিকরা জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তাদের সংসার চলছে না।সবকিছু সচল হলেও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছেন না তারা। বাস বন্ধ রাখা হলেও সরকারিভাবে তাদের কোনো ধরনের সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে তাদের পরিবারসহ না খেয়ে মরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা যাত্রী পরিবহন করতে চান বলেও জানান।
স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে লকডাউন শিথিল করায় গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচাবাজার, অফিস-আদালত খুলে দেয়া হয়েছে। কেবল গণপরিবহন বন্ধ রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রমিকরা।
এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘দেশের সড়কপথের পরিবহনগুলোতে প্রতিদিন ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।’
তিনি বলেন, ‘করোনায় মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা লকডাউনের বিরোধিতা করছি না।’ শপিংমলসহ সবকিছু সচল করা হলেও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হচ্ছে কেন- সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘বর্তমানে বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করছেন। এতে যেমন সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।’
গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসহায়তা প্রদান এবং শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিক্রির ব্যবস্থা করার দাবি জানান। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ তারা আন্দোলনে নেমেছেন বলেও জানান তিনি।
নদী বন্দর / জিকে