দেশকে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে লুকায়িত মেধা, যোগ্যতা এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সন্তাদের মধ্যেও সুপ্ত প্রতিভা আছে। এই প্রতিভাকে খুঁজে বের করে কাজে লাগাতে পারলে সেই সন্তানটি হয়তো একদিন দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে মর্যাদার আসনে আসীন করবে। দেশ পৌঁছে যাবে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদে ইনডোর স্টেডিয়ামে (বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স, পল্টন) বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ব্যাডমিন্টন র্যাংকিং টুর্নামেন্ট-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য প্রযুক্তির এই আধুনিক সময়ে ছেলে-মেয়েদেরকে মাদকের ভয়ানক ছোবলসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা করতে খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, একজন সুস্থ ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ পারস্পরিক বন্ধন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে সমাজে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেলাধুলার গুরুত্ব অনুধাবন করে তার জীবদ্দশায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে বিস্তারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষের মানসিক পবিত্রতা অর্জিত হয় এবং সে পবিত্রতার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে ভালবাসা, একে অপরের প্রতি দায়বদ্ধতা, দায়িত্ব ও বিপথগামী থেকে ফিরে আনার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
শেখ হাসিনাকে ক্রীড়াপ্রেমী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে দেশ খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্টে বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক অবস্থায় জায়গা করে নিয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার কারণে সারা বিশ্বে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। তেমনি বাংলাদেশও খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেমে নেই। করোনা মহামারির মধ্যেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি ও তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রতিযোগিতায় ১১৩ জন পুরুষ এবং ২৯ জন নারীসহ মোট ১৪২ জন খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছেন।
নদী বন্দর / এমকে