বঙ্গোপসাগরে ৭ জেলেসহ একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২২ ঘণ্টা ভাসমান অবস্থায় থাকার পর ৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে নৌবাহিনীর সদস্যরা। এখনও ট্রলারের মালিকসহ ৩ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান ফিরে আসা জেলেরা। রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে পরিবারের কাছে ফিরে যান তারা।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উদ্ধারকৃত জেলেদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য শনিবার রাতে নৌবাহিনীর সদস্যরা মোংলা থানায় তাদের হস্তান্তর করেন। তবে নিখোঁজ ৩ জেলেকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন নৌবাহিনী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
মোংলা থানা পুলিশ ও উদ্ধারকৃত জেলেরা জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থেকে একটি ফিশিং ট্রলার যোগে রওনা দেন তারা। ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাগরের গহিনে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ার ২১ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে ভারতীয় একটি ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় ৭ জেলেসহ বাংলাদেশি এ ট্রলারটি। এ সময় গনেশ মাঝি, রাহাত খলিফা, হাসান আলী ও ছিদ্দিকুর রহমান ট্রলারে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার, ড্রাম ও ককশিট ধরে সাগরে ভাসতে থাকেন। এভাবে ২২ ঘণ্টা ভাসমান থাকার পর ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে সাগরের গহিনে থাকা পারটেক্স নামক অন্য একটি ফিশিং ট্রলারের মাঝি তাদের ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাদের চিকিৎসা দিয়ে ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় নৌবাহিনীর বি এন এস ওমর ফারুক জাহাজে হস্তান্তর করে উদ্ধারকারী ওই ফিশিং ট্রলারের লোকজন।
বাকি ৩ জেলে ভাণ্ডারিয়া বোতলা এলাকার নুরু খলিফার ছেলে আবুল কালাম (৩৫), একই এলাকার শুনিল কুমার শীলের ছেলে শান্ত শীল (২৪) ও ভাণ্ডারিয়া হরিনপালা এলাকার নাছিম উদ্দিন (৩৫) নিখোঁজ রয়েছেন।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, মোংলা নৌবাহিনীর প্যাটি অফিসার মো. আজিজ শনিবার রাতে উদ্ধারকৃত জেলেদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করেন। খাবার ও চিকিৎসা শেষে পরিবারের সদস্যদের খবর দিয়ে রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নদী বন্দর / পিকে